Category: Uncategorized

  • যশোরের শার্শায় বিদ্যুৎস্পস্টে নিহত ১!

    নাজমুল সুজন বিশ্বাস :: শার্শা-যশোর প্রতিনিধি:

    যশোরের শার্শায় বিদ্যুৎস্পস্ট হয়ে রাসেল হোসেন(১৪)নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার(১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের সেতাই গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।নিহত রাসেল ওই গ্রামের উত্তরপাড়ার আনারুল মন্ডলের ছেলে।

    সে সেতাই এসিআই ইউনাইটেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে,স্কুলের ছুটির দিন হওয়ায় পিকনিক করার উদ্দেশ্য রাসেল ও কয়েকজন বন্ধু মিলে ওই গ্রামের মাঠে আম বাগানে কাঠখড়ি কুড়াতে গিয়েছিল।আম গাছের ভাঙ্গা ডালপালা নিয়ে আসার সময় অসাবধানতায় রাসেল ওই বাগান দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ এর তারে স্পর্শ হয়ে জ্ঞান হারায়।পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আব্দুল আলীম জানান,এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের জিম্বায় মরদেহটি দাফন করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

  • কামরুল হাসান শায়ক যিনি প্রকাশনা শিল্পকে নিয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে

    কেউ কেউ সাম্রাজ্য গড়েন, কেউ কেউ গড়েন সেতু। আর খুব অল্প কিছু মানুষ — যেমন কামরুল হাসান শায়ক — গড়েন দুটোই, তবে ইট-পাথর দিয়ে নয়, বই, স্বপ্ন আর অদম্য সংকল্প দিয়ে। আজ তাঁর ৬০তম জন্মদিন। আজকের দিনে আমরা শুধু জন্মদিন উদযাপন করছি না, আমরা উদযাপন করছি এক জীবনের সেই অধ্যায়, যা বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে দিয়েছে আধুনিকতা, আন্তর্জাতিক পরিচিতি এবং একটি সুদৃঢ় কাঠামো। ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, নীলফামারীর সৈয়দপুরে জন্ম নেওয়া কামরুল হাসান শায়কের শেকড় চাঁদপুরে হলেও, তাঁর চিন্তা, চেতনা ও কর্ম আজ ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে, এমনকি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও। ১৯৯৩ সালে যখন দেশের প্রকাশনা শিল্প ধীরে চলা এক ট্র্যাডিশনাল যানে রূপান্তরিত, তখনই তিনি সাহসী সিদ্ধান্ত নেন—প্রযুক্তিনির্ভর, মানসম্পন্ন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডের বই তৈরি করতে হবে। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখেননি, তা বাস্তবায়নের জন্য গড়েছেন প্রতিষ্ঠান, কাঠামো, দক্ষ জনবল। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের নেতৃত্বে থেকে তিনি বাংলাদেশে বই প্রকাশনার নতুন যুগের সূচনা করেন। তাঁর হাত ধরেই বই মুদ্রণ, সম্পাদনা, ডিজাইন, প্রি-প্রেস, মার্কেটিং—সব কিছুতে আসে কাঙ্ক্ষিত আধুনিকতা। বাংলাদেশকে তিনি তুলে ধরেছেন আন্তর্জাতিক বইমেলায়—ফ্র্যাঙ্কফুর্ট, লন্ডন, কলকাতার মেলাগুলোতে যখন বাংলাদেশ অংশ নেয়, তখন তার পেছনে থাকে তাঁর কৌশলী নেতৃত্ব। তিনি ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের IPA-তে পূর্ণ সদস্যপদ অর্জনে, এবং APPA-এর ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সেই জায়গায় দেশের নাম প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর কার্যনির্বাহী ভূমিকা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা সংগঠনে ছিল—বাংলাদেশ বুক পাবলিশার্স অ্যান্ড সেলার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সহ-সভাপতি, অ্যাকাডেমিক অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক, PBS Ltd.-এর পরিচালক। তিনি ছিলেন বারোটোপা প্রিন্টার্স লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান, দুরসুন পাবলিকেশন্স, অক্ষরপত্র প্রকাশনী, Words and Pages-এর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। তিনি শুধু প্রকাশনা নিয়ে কাজ করেননি, লিখেছেন নিজেও। শিশু-কিশোর সাহিত্যে তাঁর দুটি বই—‘জেমি ও জাদুর শিমগাছ’ ও ‘মৎস্যকুমারী ও এক আশ্চর্য নগরী’—পাঠকের প্রিয়তা পেয়েছে। পাশাপাশি তিনি প্রকাশনা পেশার জন্য একাধিক গাইডবুক রচনা করেছেন—‘মুদ্রণশৈলী ও নান্দনিক প্রকাশনার নির্দেশিকা’, ‘পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতকরণ, সম্পাদনা ও প্রুফরিডিং’, ‘পুস্তক উৎপাদন ব্যবস্থাপনা’—যা আজ পেশাজীবীদের কাছে রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কামরুল হাসান শায়ক শুধু প্রকাশনার সংগঠক বা লেখক নন, তিনি একজন সংস্কৃতিচিন্তক ও সমাজসেবকও। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সদস্য, SAARC চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, জাতিসংঘ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, FBCCI এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সক্রিয় সদস্য। তাঁর এই ছয় দশকের যাত্রা কেবল একজন মানুষের অর্জনের ইতিহাস নয়, এটি বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পের অগ্রযাত্রার ইতিহাস। কামরুল হাসান শায়ক নিজেকে কখনোই সামনে আনেননি, বরং বই, লেখক ও প্রকাশনাকে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন—শব্দই শক্তি, জ্ঞানই অগ্রগতি। আজ তাঁর ৬০তম জন্মদিনে আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধা জানাই এমন একজন মানুষকে, যিনি শব্দকে রূপ দিয়েছেন সেতুতে, বইকে বানিয়েছেন দেশের কণ্ঠস্বর, আর স্বপ্নকে করে তুলেছেন বাস্তবতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। শুভ জন্মদিন কামরুল হাসান শায়ক। আপনার জীবন বাংলাদেশের জ্ঞানভিত্তিক ভবিষ্যতের প্রতীক হয়ে থাক।

    আপডেট:: নাজমুল সুজন বিশ্বাস // শার্শা-যশোর //

  • নীল নগর স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি গঠন

    নীল নগর স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি গঠন

    চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ::
    চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর  উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিল নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের  এক যাক মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ২০১০সালে গঠিত নিল নগর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন  এর নতুন কার্যকরী কমিটি ২০২৫-২৬ ঘোষণা করা হয়েছে।

    উক্ত কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন  এবং সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে রুবেল হোসেন কে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ সভাপতি  লিমন সরকার সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম শাকিল প্রচার সম্পাদক রাজীব সৈয়াল ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল রানা শাকিব এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন মোঃ সাকিব, রিফাত হোসেন, জুম্মন খান, মোঃ নায়েম হোসেন, মোহাইমিনুল মাহিন, আশিক রহমান, কাশমেরি আক্তার,রেবেকা  সুলতানা।

    নীল নগর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার দীর্ঘদিন যাবত মতলব উত্তর উপজেলায় সামাজিক এবং শিক্ষামূলক কাজ করে আসছে প্রতি বছর নিলনগর স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের পক্ষ থেকে উপজেলা ভিত্তিক উপবৃত্তি পরীক্ষা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি মাদকবিরোধী র্যালি, বাল্যবিবাহ রোধে র্যালি, এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা ও সচেতনামূলক কাজ করা হয়।

  • যশোর শার্শায় ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

    নাজমুল সুজন বিশ্বাস:: শার্শা (যশোর):: যশোর শার্শায় ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭যশোরের শার্শায় ট্রাক ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তানজিম (১৩) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৭জন। মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর দুইটার দিকে শার্শা উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ সড়কের কাশিপুর বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তানজিম শার্শার বন মান্দারতলা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।আহতদের মধ্যে রয়েছেন পারভীনা (৪৮), সাথী (৩২), খায়রুননেসা (৫৫), ডলি (৩৮), সুফিয়া খাতুন (৬০), মেহেরুল্লা (২৪) ও নুরুজ্জামান (৪০)।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শার্শা উপজেলার পাকশিয়া বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে কাশিপুর যাচ্ছিল একটি ইজিবাইক। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১৪-৯৫৫৬) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তানজিমকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে খায়রুননেসা ও ইজিবাইক চালক নুরুজ্জামানকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম রবিউল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাক ও ইজিবাইক জব্দ করেছে। তবে ট্রাকচালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। তাদের শনাক্তে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।

  • জাতীয় সীরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫ এ অংশগ্রহণের সুযোগ পেল ফান্দাউকের(নাসিরনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) কৃতী সন্তান

    শিক্ষা ও বিনোদন ডেস্কঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক সারাদেশ ব্যাপী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু করেন “জাতীয় সীরাত প্রতিযোগিতা-২০২৫”।সেখানে মোঃ গোলাম দস্তগীর নামে মাস্টার্স ফলাফল প্রত্যাশি এক শিক্ষার্থী তার মাস্টার্স অধ্যয়নকৃত হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র হিসেবে, প্রথমে হবিগঞ্জ জেলা পর্যায় অতিক্রম করেন। অতঃপর গত ২৭ শে মে ২০২৫ এ ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় বিভাগীয় পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা। সে পরীক্ষায় পুরো সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে উত্তীর্ণ হওয়ায় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পান তিনি।সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে উত্তীর্ণ হওয়ায় সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, ও পুরস্কার তুলে দেন, সিলেট ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক মহীউদ্দিন মজুমদার, সিলেট সরকারি আলিয়ার প্রিন্সিপাল প্রফেসর মাহমুদুল হাসান ও সিলেট ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপ-পরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।জানা যায় তিনি এছাড়াও আরো অনেক জাতীয় ও আঞ্চলিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। বিশেষ করে গ্রামীনফোন কোম্পানির “ওয়াওবক্স একাই একশো ক্যাম্পেইন অ্যাওয়ার্ড-২০১৭”, “চট্টগ্রাম একাডেমি সাহিত্য সম্মাননা পুরস্কার-২০১৮” প্রভৃতি।এছাড়াও তিনি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন রেজিস্টার্ড লেখক।বাংলাদেশ-ভারতের জাতীয় ও আঞ্চলিক অনেক পত্র-পত্রিকা,ম্যাগাজিন,দৈনিক, সপ্তাহিক,পাক্ষিক, মাসিক ও ত্রৈমাসিক প্রভৃতি জার্নালে উনার অনেক লেখা প্রকাশিত হয়েছে।ইতিপূর্বে তিনি বিএ অনার্স করেছেন চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে ও কামিল(ফিকহ/ইসলামি আইন) পড়েছেন দেশসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা-ঢাকায়। জানা যায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের কৃতী সন্তান।এদিকে সারাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রাসূল সাঃ এর সীরাত নিয়ে এই আয়োজনটি করেন। প্রথমে জেলা পর্যায়ে বাছাই করে; বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাই সম্পন্ন করেন। এবার জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত বাছাই কার্যক্রম জুনের মধ্যেই শুরু হবার কথা রয়েছে।

    আপডেট- নাজমুল সুজন বিশ্বাস ::শার্শা (যশোর) // দৈনিক বাংলাদেশ চিত্র

  • বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরলেন ৩৬ বাংলাদেশি নারী, পুরুষ

    নাজমুল সুজন বিশ্বাস :: শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি::

    ভারতে দুই থেকে তিন বছর জেল খেটে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরলেন ৩৬ বাংলাদেশি নারী, পুরুষ ও শিশু।মঙ্গলবার (২৭শে মে) বিকালে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ বলেন, ভালো কাজ করার আশায় তারা দালালদের মাধ্যমে অবৈধ পথে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া ভারতে যান। এরপর ভারতের কলকাতা শহরে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে কাজ করার সময় সে দেশের পুলিশের হাতে আটক হন এবং আদালত তাদের দুই/ তিন বছরের সাজা দেয়। সাজা শেষে, ৪টি সংস্থা মহিলা আইনজিবী সমিতি, জাস্টিন এন্ড কেয়ার, রাইটস যশোর,পাচারের শিকার ও শিশু সুরখা, সংস্থার মাধ্যমে তারা দেশে ফেরেন।ফেরত আসারা ঢাকা, মাদারীপুর, নোয়াখালী, ঝিনাইদহ, চিটাগাং,সাতখীরা,গাইবান্ধা, যশোর বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।মানবাধিকার সংস্থ্যা জাস্টিন এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রামার অফিসার আব্দুল মুহিত হোসেন জানায়, ভাল কাজের প্রলোভনে পড়ে এরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে পুলিশ আদালতে সোপর্দ করলে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থ্যা দমদম সেল্টারহোম নামে একটি সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে সেল্টার হোমে রাখে। পরে দুই দেশের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে এরা দেশে ফেরার সুযোগ পায়।

  • আব্দুল আজিজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

    আব্দুল আজিজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

    চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি ::

    চাঁদপুর জেলার মতলব (উঃ) উপজেলার সুজাতপুরে ২০২৩ সালের ১লা মে “আব্দুল আজিজ ফাউন্ডেশন” নামে প্রতিষ্ঠিত করেন মোঃ কবির বেপারী।

    এই ফাউন্ডেশন তার মরহুম পিতা আব্দুল আজিজ বেপারী’র নামে নামকরণ করা হয়। এই ফাউন্ডেশনের মধ্যে দিয়ে সামাজিক ও সমাজ উন্নয়ন কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

    আজ শনিবার (১৭ মে) বিকাল ০৪ ঘটিকায় আব্দুল আজিজ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ফলজ ও ঔষধি গাছের উন্নত জাতের (আম, লিচু, মুন্ডাফল, আমড়া, পেয়ারা, জলপাই ও ঔষধি) গাছ ইত্যাদি রোপণ করা হয়।

    এসময় ‘আব্দুল আজিজ ফাউন্ডেশন’ এর অন্যতম কার্যনির্বাহী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ফয়েজ আহামেদ (মাহিন), মোঃ হাসান বেপারী, রেজাউল হোসাইন, অত্র মাদ্রাসার মোহতামিম মোঃ মাহবুব হোসেন, মাদ্রাসা ছাত্র ও মোঃ বাবলু মিয়া সহ প্রমুখ।

  • মায়ের রত্নগর্ভা সম্মাননা

    মায়ের রত্নগর্ভা সম্মাননা

    মাকে নিয়ে লেখার আগে একটু বাবার প্রসঙ্গে আসি। মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছে অনেকদিনের। এরমধ্যে শুরু হয়েছে মহামারি করোনা। আতংক চারপাশে, কে কখন চলে যাই না ফেরার দেশে। বাবাকে নিয়ে কাজটা না করতে পারলে আফসোস থেকে যাবে। একজন লেখক হয়ে বাবাকে নিয়ে কাজটা করা আমার দায়িত্বে পড়ে। অবশেষে করোনাকালীন সময়েই শুরু। আমাদের তিন প্রজন্মের বই “মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মতিন”। কেন্দ্রীয় চরিত্র আমার বাবা, লেখক আমি, আর প্রচ্ছদ শিল্পী আমার ছোট কন্যা ফারিহা আহসান অভ্র। বইয়ে আমার মায়ের একটা অংশ, যার শিরোনাম ” নাতিন নাতিন যাইবানি, শেখ সাব আইছে দেকপানি”। আমি যখন মায়ের গর্ভে সেই সময়ের ঘটনাই ছিলো সেটা, যা মায়ের মুখে শুনা। ২০২১ সালের শুরুতে বাবার হাতে তুলে দিই বইটি।

    সবার মা পৃথিবীর সেরা মা। আমার কাছে শুধুই সেরা নয় মায়ের আদর্শেই আজ আমি এখানে। মা আমার প্রিয়ব্যক্তি। আর আমার মায়ের গুনাবলীর কথা লিখে বা বলে শেষ করা যাবে না। বাবার বইটা করে ভাবলাম এবার মায়ের জন্য কিছু করা আমার দায়িত্ব। আমি আমার মাকে একজন রত্নগর্ভা বলি। আমরা চার ভাইবোন। বড়বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স প্রথম ক্লাস, বর্তমানে শিক্ষকতায় আছে। বড়ভাই (আমার ছোট) ডাক্তার বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছে, ছোটভাই একজন ব্যাংকার, বর্তমানে একটি ব্যাংকের সিএফও এর দায়িত্বে আছে, আর আমি হলাম সাহিত্যিক প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। আমাকে ছাড়াই আমার মা একজন রত্নগর্ভা।

    সময় ২০২৪, নারী দিবস উপলক্ষে সাহিত্যে অবদানের জন্য ‘বীর ফাউন্ডেশন’ থেকে সম্মাননা দেয়া হয় আমাকে। এরকিছু দিন পর মা দিবস নিয়ে একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। রত্নগর্ভা মায়েদের সম্মাননা দেয়া হবে, আবেদন করার জন্য। আমি আমার মায়ের জন্য আবেদন করি, আর আমার উত্তেজনা শুরু সেদিনই। আমাদের চারভাই বোনের অবস্থান ও বিস্তারিত জানাই। উনারা আমার মাকে রত্নগর্ভা সম্মাননা জানানোর জন্য যোগাযোগ করেন। আমি মাকে সব জানাই। মাকে জানানোর পর থেকে মায়ের ও ভাবনা। কি হবে, কিভাবে কি করবেন। ছুটে যাই মায়ের কাছে, মা বাবা সাভারে থাকেন। পরিবারের জন্য সারপ্রাইজ রাখতে বিষয়টা সবাইকে জানাইনি।

    মা আমার কাছে সব জানতে চায়। আমি মাকে খুব সাধারণভাবেই বুঝিয়ে দিই। প্রায় ৭০ বছর বয়সে মা কোন মঞ্চে উঠবেন, ডায়াসের সামনে কথা বলবেন। বাবা একজন চাকরিজীবী, একজন মুক্তিযোদ্ধা, একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। বাবা বহুবার মঞ্চে উঠেছেন। আমার সাথে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে গিয়ে সাহিত্য প্রোগ্রামেও কবিতা বলেছেন, কিন্তু আমার মা এই প্রথম। মা শুধু মঞ্চেই উঠবেন না, একজন সেরা মা হিসাবে সম্মাননা গ্রহণ করবেন। মা নিজের কথা বলবেন। আমার ইচ্ছে মায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন বাবাও। তবে বাবাকে আগে থেকে কিছুই জানাইনি।

    যথারীতি বাবা মা আসেন আমাদের বাসায়। বিকেলে আমি ওনাদের নিয়ে যাই অনুষ্ঠানে। মা বসে বসে দেখছেন অন্যদের, আর কি কি বলবেন তা মনে করে নিচ্ছেন। মাকে ডাক দেয়া হলো মঞ্চে যেতে, কথা বলতে। আমি মায়ের হাত ধরে মঞ্চে তুলে দিলাম। মা বলতে শুরু করলেন, আমি হা করে তাকিয়ে আছি মায়ের দিকে। কেউ বলবেনা উনি এই প্রথম বলছেন ডায়াসে কথা। সেই ১৯৭০ সালের আগে থেকেই বলছেন মা। ১৯৭০ সালের ৩ ডিসেম্বর বাবা মায়ের বিয়ে, বাবার যুদ্ধে যাওয়া। একে একে আমাদের জন্ম। গ্রাম থেকে শহর, সন্তানদের বড় হওয়া। খুব ঘুছিয়ে বলে যাচ্ছেন তিনি। আমি ছবি তুলি, মায়ের কথা ভিডিও করি।

    একটুপর মায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ান বাবা। বাবা শুধু বললেন, “আমার বলার কিছুই নেই, উনি খুব সুন্দরভাবেই সব বলেছেন”। আলোচনার পর সম্মাননা দেয়া শুরু। আরও আনন্দের বিষয় হলো প্রধান অতিথি ছিলেন আমার বাবারই একজন স্যার। বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় যিনি বাবার বস ছিলেন। মায়ের ছবি সহ একটা ক্রেস্ট, ছবি সহ সার্টিফিকেট দেয়া হলো। অনুষ্ঠান শেষে আমরা নেমে আসি, মায়ের হাতে সেই ক্রেস্ট। মা গাড়িতে বসে আছেন ক্রেস্ট হাতে। মায়ের চোখে মুখে আনন্দের ফুলঝুরি।

    অফিসের ব্যস্ততার জন্য ছোটভাই অনুষ্ঠানে যেতে পারেনি। আমরা বাসায় আসি রাত নয়টায়, এদিকে মা দিবস উপলক্ষে একটা কেকের অর্ডার দেয়া ছিলো। অফিস থেকে ভাই আসে, এদিকে কেক আসে। বাবা মা ভাই সহ পরিবারের সবাই মিলে কেক কাটি। সবকিছুর মাঝে আমি আমার মায়ের মুখ দেখি। মায়েরা খুব অল্পতেই খুশি। আমি মায়ের আনন্দ দেখি। মায়ের ভেতরের অনেক কথা আজ তিনি বলতে পেরেছেন। অনেকের সামনে নিজের কথা সন্তানদের সফলতার কথা বলেছেন। একটুপর ছোটভাই বলে, “আমি আমার মাকে এর আগে কখনোই এতো উৎফুল্ল দেখিনি”।

    ভাইয়ের কথায় আমার চোখ ভারি হয়ে আসে। হ্যাঁ আজ আমি মায়ের জন্য কিছু করতে পেরেছি। সম্মাননা ছোট বা বড় সেটা আসল নয় সম্মাননাই আসল। মা নিজের সম্মান পেয়েছেন। পরেরদিন বাবা মা কে নিয়ে বের হই, মেট্রোরেলে করে ওনাদের উত্তরা নিয়ে যাই। আবার মেট্টোরেলে করে ভাইয়ের অফিসে। এই প্রথম মা উনার সন্তানের অফিসে এসেছেন। ছোটভাই তার চেয়ারে মাকে বসালেন। মায়ের চোখেমুখে আনন্দের জোয়ার। অফিসের সবাই আসছে বাবা মায়ের সাথে পরিচয় করছেন। বাবা আগেও এসেছেন ছেলের অফিসে, কিন্তু মা আজই প্রথম। খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছে। মা নিজেই দেখছেন ছেলের কর্মস্থল আর সহকর্মীদেরকে। বিদায়ের আগে অফিসের অনেকের সাথে ছবিতোলা হয়। সবাই মিলে বাসায় আসি।

    সম্মাননার আয়োজন থেকে মাকে দুইটা সার্টিফিকেট দেয়। যেগুলোতে মায়ের ছবিও আছে। আমি সার্টিফিকেট গুলো লেমোনেটিং করে দিই যেনো নষ্ট না হয়ে যায়। বাবা মা চলে যান সাভারে। কয়েকদিন পর আমি গিয়ে দেখি মা যে ব্যাগ নিয়ে সব সময় বের হন সেই ব্যাগে মায়ের সার্টিফিকেট রাখা। নতুন জায়গায় গেলে মা অন্যদের তা দেখান।

    মাত্র দুমাস আগের কথা। মা ছোটছেলের ব্যাংকের একটা শাখায় যান। শাখার ম্যানেজার যখন জানতে পারেন সিএফও স্যারের মা এসেছেন উনি নিজে মায়ের সাথে অনেক গল্প করেন। মায়ের সন্তানরা উপযুক্ত জায়গায় আছেন বলে দোয়া ও প্রসংশা করেন। বলেন, “খালাম্মা আপনি তো একজন রত্নগর্ভা”
    সাথে সাথে মা নিজের ব্যাগ থেকে সেই সার্টিফিকেট বের করে দেখিয়ে বলেন,
    “আমাকে তো রত্নগর্ভা সম্মাননা দিয়েছে, এই যে কাগজ”
    মা নিজে আমাকে ঘটনাটা বলেন। আমি ভেতরে ভেতরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছি। সত্যিই আমি পেরেছি মায়ের জন্য কিছু করতে।

    ১৯৯১ সাল, আমি কলেজে পড়ি। মাকে একদিন কলেজ দেখতে নিয়ে যাই, মা প্রায় বলেন সে কথা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে একটা সাহিত্য প্রোগ্রামে মাকে নিয়ে যাই, মা আজও বলেন সে কথা। ২০১০ সালে গল্প লিখে প্রথম আলো থেকে সম্মাননা পায় আমার বড় কন্যা রৌদ্র মালিহা। আগারগাঁও চীনমৈত্রী সম্মেলনে দেয়া হয় সেই সম্মাননা। আমি আমার মাকে সাথে নিয়ে যাই। আজও মা বলেন সেকথা।
    এই বিষয়গুলো খুব ছোট ছোট, কিন্তু মায়েদের কাছে এক আকাশ সমান। মায়েরা অনেককিছুতেই না বলেন, কিন্তু আপনি করে দেখান। দেখবেন মায়েরা কত খুশি হয়।

    প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আমাদের। ভিন্নতা রয়েছে মতামতে, ভিন্নতা রয়েছে সংস্কৃতি থেকে শুরু করে জীবন যাপনেও। একটা কথাই বলতে চাই আপনি যেমনিই হোন, আপনার অবস্থান বা কর্মক্ষেত্র যেমনি হোক, যত উচ্চপর্যায়ের হোক সম্ভব হলে আপনি আপনার বাবা মাকে সেখানে নিয়ে যান, ওনাদেরকে দেখান। হয়তো যেতে চাইবে না, কিন্তু যাওয়ার পর দেখবেন কত খুশি হন ওনারা।

    আমার জন্ম কুমিল্লা সেনানিবাস হলেও বেড়ে উঠা নোয়াখালীতে। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি মা হাতের কাজ করেন, আমরা যাকে কুটিরশিল্প বলি। আমাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে মা এসব বিক্রি করতেন। আমার দেখা একসময় একজোড়া কাপড়ের হাতপাখা মা ২০/ টাকা বিক্রি করেছেন, আবার এক সময় ১২০/ টাকাও বিক্রি করেছেন। মায়ের হাতের শীতল পাটি আজও ব্যবহার হয় বাসায়। ১৯৯৪ সালে মা ঢাকায় আসেন। এখানে এসেও মা সংসারের পাশাপাশি হাতের কাজ করেন। একসময় মা কাগজের মুণ্ডু দিয়ে তৈজসপত্র বানান। কাগজের মুণ্ডু দিয়ে মায়ের হাতের বানানো তৈজসপত্র (চেয়ার, টেবিল, টুল, বাক্স) এখনও বাসায় ব্যবহৃত হয়। একটা সময় মায়ের এই কাজগুলো নিয়ে পত্রিকায় ফিচার লিখি। মা অনেক খুশি হোন।

    মায়েরা আসলে এমনিই, মায়েদের সাথে কারও কোন তুলনা হয়না। আমি বলি, পৃথিবীতে এই একটি বর্ণের একটি অর্থবোধক শব্দ যার ব্যাখ্যা বা পরিধি কখনই মাপা যাবে না। মনে রাখবেন ‘মায়েরা হাসলেই হাসবে আপনার বিশ্ব’।পৃথিবীর সব মায়েরা ভালো থাকুন, সন্তানের আদর ভালোবাসায় থাকুন, নিরাপদে থাকুন। মায়েদের চোখের জল যেনো না হয় কষ্টের নোনাজল। মায়েদের চোখের জল হোক আনন্দের অশ্রু।

    লেখক: সাহিত্যিক প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক।

  • মতলব উত্তরে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বিএনপি নেতা তানভীর হুদা

    মতলব উত্তরে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বিএনপি নেতা তানভীর হুদা

    মতলব (উঃ) চাঁদপুর প্রতিনিধি ::

    দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ ও জায়গা-জমি, ভিটেমাটি রক্ষা করার জন্য বালু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মতলবের সবাইকে একসাথে প্রতিবাদ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তথ্য ও সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম নুরুল হুদার জ্যেষ্ঠ পুত্র এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদা।

    শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চরমাছুয়া সহ বিভিন্ন এলাকার নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তানভীর হুদা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

    তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে নদী ভাঙনে স্থায়ী সমাধান করা হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে নদী ভাঙনে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে লুটপাট করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কোন উপকারই আসেনি।

    তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বালু খেকোরা মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে হাজার হাজর কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। গত ৫ আগষ্টের পরে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীতে বালু সন্ত্রাসীরা অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার পায়তারা করছে। কোথাও কোথাও রাতের আঁধারে বালু উত্তোলন করছে। প্রশাসনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। প্রশাসনের পাশাপাশি নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে।

    তানভীর হুদা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলদারিত্ব, মাদক কারবারিদের দলে কোন স্থান নেই। সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের কোন দল নেই। এদের বিরুদ্ধে বিএনপি কঠোর অবস্থানে।

    পরিশেষে তিনি নদীরক্ষা কমিশন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন। অবৈধ ভাবে মেঘনা ও ধনাগোদা নদীতে বালু উত্তোলনের বন্ধে ও নদী ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

    এ সময় জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল মান্নান লস্কর, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মোবারক হোসেন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমু, ছেংগারচর পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মানিক ফরাজী, জেলা যুবদলের সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবু তাহের সুমন, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্য দেলোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি তারেক সরকার, উপজেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল বাশার ছগির, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মহসিন মন্ডল, ফরাজী কান্দী ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আহমেদ হোসেন মিন্টু, সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান লালু, গজরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, যুবদল রোমান গাজী, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবদল নেতা ইমরান, বিএনপি নেতা জাকির মিজি, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য অলি দেওয়ান, বিএনপি নেতা মিনু দেওয়ান, পৌর যুবদল নেতা মো. ইদ্দিছ, যুবদল নেতা জুম্মন প্রধান, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন বেপারী, আনোয়ার হোসেন খান, সালেহ আহমদ, বাহার ইকবাল, মহসিন মীর, হান্নান মীর, সোলায়মান, করিম পাটোয়ারী, শফিক মিজি, সাত্তার, রাসেল, গোলাম হোসেন গাজী, সালাউদ্দিন, আহসান উল্লাহ মোল্লা, মঞ্জু মিয়া, লিটন বকাউল, মানিক জসিম, মবু মৃধা, ছাত্রদল নেতা রনি, যুবদল নেতা কবির হোসেন, গজরা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাবু, ছাত্রদল নেতা নাদিম ভূইয়া, তানজিল প্রধান’সহ বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রতিবাদী কন্ঠের সহযোগিতায় গরীব অসহায় পরিবারের মাঝে বিয়ের নগদ অর্থ প্রদান 

    আজিজ আহমেদ, নোয়াখালী প্রতিনিধি: মানবিক ও সামাজিক সংগঠন প্রতিবাদী কন্ঠের সহযোগিতায় এক গরীব অসহায় পরিবারের বিয়ের জন্য নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। 

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের সরু মিয়া হাজি বাড়ির আনোয়ার হোসেন এর মেয়ের বিবাহের জন্য এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। 

    এই সময় প্রতিবাদী কন্ঠের কোষাধ্যক্ষ ফিরোজ উদ্দিন ও সাহাদাত হোসেন সুজন মেয়ের বাবা আনোয়ার হোসেনের হাতে এই নগদ অর্থ তুলে দেন।

    প্রতিবাদী কন্ঠ সামাজিক ও মানবিক সংগঠন থেকে বলা হয়, এই রকম মানবিক কাজ ও গরীব অসহায় মানুষের কল্যাণে সব সময় কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এই ছাড়াও সমাজের নানা অসঙ্গতি দূর করা, মাদক বিরোধী কাজ, যেকোন অন্যায় প্রতিরোধ করার আহবান ও জানানো হয় সংগঠন থেকে।